আহত ক‍্যামেলিয়ন উদ্ধার : চিকিৎসার পর ছাড়া হবে জঙ্গলে

18th August 2020 4:49 pm বাঁকুড়া
আহত ক‍্যামেলিয়ন উদ্ধার : চিকিৎসার পর ছাড়া হবে জঙ্গলে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাড়ির সামনে থেকে মাস চার-পাঁচে'র এক আহত ক্যামেলিয়ন উদ্ধার করে বনদপ্তর হাতে তুলে দিল তালডাংরার পাঁচমুড়া গ্রামের সোমনাথ রায় নামে এক যুবক। লুপ্তপ্রায় প্রানীর তালিকায় পড়ে ক্যামেলিয়ান বা তক্ষক নামে এই প্রানীটিও।অন্যদিকে আহত ক্যামেলিয়ান টি হাতে পেয়ে বন দপ্তর থেকে জানা যায় ক্যামেলিয়ান টিকে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে। 

উদ্ধারকারী সোমনাথ রায় জানান , হঠাৎই তার বাড়ির সামনের এক গাছ থেকে তার পিছন দিকে ধূপ করে কিছু একটা পড়ে। পরে তিনি তাকিয়ে দেখেন একটি রক্তাক্ত অবস্থায় পিছনের একটি পা কাটা আহত ক্যামেলিয়ান। তড়িঘড়ি তিনি ক্যামেলিয়ান টিকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত ভাবে রাখে এবং সাথে সাথেই তিনি পাঁচমুড়া বিট ও তালডাংরা রেঞ্জ অফিসার কে উদ্ধারের বিষয়টি জানান। এবং পরে তিনি নিজে আহত ক্যামেলিয়ানটি নিয়ে পাঁচমুড়া বিট অফিসে গিয়ে বিট অফিসার না থাকায় এক বনদপ্তরের  কর্মীর হাতে তুলে দেন ক্যামেলিয়ানটি। এর পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে আবেদন রাখেন যে, এই সব লুপ্তপ্রায় প্রানিদের লোকালয়ে দেখতে পেলে বনদপ্তরের হাতে তুলে দিন, তাহলে এরাও বেচেঁ থাকবে। 

অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ লায়েক নামে এক বনকর্মী হাতে পাওয়ার পর জানান,মাস চার-পাঁচের  আহত ক্যামেলিয়ন টি আমাদের হাতে যুবকটি তুলে দিল। এবার আমরা বনদপ্তর থেকে এটিকে চিকিৎসা করে সুস্থ করার পর,এটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।